মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার একটি ভ্রমণ পরামর্শ জারি করেছে, যেখানে ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের সময়, যার মধ্যে বালির মতো জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রও রয়েছে, চরম সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য লোকেদের সতর্ক করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া বর্তমানে মার্কিন ভ্রমণ পরামর্শের স্তর ২-এ রয়েছে: সতর্কতা বৃদ্ধি করুন।
তবে, ইন্দোনেশিয়ার দুটি অঞ্চল - মধ্য পাপুয়া (পাপুয়া তেঙ্গা) এবং হাইল্যান্ড পাপুয়া (পাপুয়া পেগুনুনগান) - এর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর একটি স্তর 4 "ভ্রমণ করবেন না" পরামর্শ জারি করেছে। এই পরামর্শে নাগরিক অস্থিরতার কারণে এই অঞ্চলগুলিতে সমস্ত ভ্রমণের বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে, যেখানে বিক্ষোভ এবং সংঘাতের ফলে মার্কিন নাগরিকদের আহত বা মৃত্যু হতে পারে। মার্কিন সরকারের এই অঞ্চলগুলিতে জরুরি পরিষেবা প্রদানের সীমিত ক্ষমতাও রয়েছে, কারণ কর্মীদের সেখানে ভ্রমণের জন্য বিশেষ অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মতে, এই অঞ্চলগুলিতে সহিংসতা এবং অস্থিরতা চলছে যার ফলে পর্যটকদের আহত বা মৃত্যু হতে পারে। সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি এই অঞ্চলগুলিতে সক্রিয় এবং বিদেশী নাগরিকদের অপহরণ করতে পারে, বিশেষ করে তীব্র উত্তেজনার সময়।
সংস্থাটি ইন্দোনেশিয়া জুড়ে সন্ত্রাসী হামলার চলমান হুমকির দিকেও ইঙ্গিত করে, সতর্ক করে যে সতর্কতা ছাড়াই আক্রমণ ঘটতে পারে।
সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুগুলির মধ্যে রয়েছে পুলিশ স্টেশন, উপাসনালয়, হোটেল, বার, নাইটক্লাব, বাজার, শপিং মল এবং রেস্তোরাঁ। ভ্রমণকারীদের জনসাধারণের স্থানে সতর্ক থাকার এবং স্থানীয় সুরক্ষা সতর্কতা অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
যদিও ইন্দোনেশিয়ার বেশিরভাগ অংশ পর্যটনের জন্য নিরাপদ, ভ্রমণকারীদের সচেতন থাকা উচিত যে অঞ্চল এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ঝুঁকির মাত্রা পরিবর্তিত হতে পারে। আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময় সচেতন এবং সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্প, সুনামি এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতেও রয়েছে, যা পরিবহন অবকাঠামো ব্যাহত করতে পারে, ভবনগুলির ক্ষতি করতে পারে এবং পরিষ্কার জল এবং চিকিৎসা সেবার অ্যাক্সেসকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
ভ্রমণকারীদের স্থানীয় জরুরি পদ্ধতির সাথেও পরিচিত হওয়া উচিত এবং তাদের অবস্থানের সময় সরকারী সতর্কতাগুলি পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
বিক্ষোভ এবং বিক্ষোভও সাধারণ এবং দ্রুত সহিংস হয়ে উঠতে পারে। ভ্রমণকারীদের বড় সমাবেশ এড়িয়ে চলা উচিত, তাদের আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত এবং প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করা বা তাদের কাছে যাওয়া উচিত নয়।